ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি

 ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি, তা জেনে রাখলে সিদ্ধান্ত নেয়ার সহজ হবে যে, ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট খোলা ভালো, নাকি ব্লগারে? ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি? তা নিম্নরূপ।

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি

পেজ সূচিপত্র: ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি

উপস্থাপনা 

ওয়েবসাইট খুলতে গিয়ে অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগেন যে, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট খুলে ভালো হবে, নাকি ব্লগার ওয়েবসাইট করা ভালো হবে? আপনি যদি এই ধরনের দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগে থাকেন সেক্ষেত্রে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি, সেই বিষয় সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। 

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের যে সকল সুবিধা অসুবিধা রয়েছে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।এর পাশাপাশি ব্লগার ওয়েবসাইটের যে সকল সুবিধা অসুবিধা রয়েছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কেও আলোকপাত করা হবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে, আপনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস এর ওয়েবসাইট খোলা ভালো হবে নাকি ব্লগার ওয়েবসাইট খোলা ভালো হবে। যাইহোক আসুন দেখে নেয়া যাক, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি? সেই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত। 

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি

ব্লগার ওয়েবসাইট এবং ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান, এ সকল পার্থক্যের কারণে কোন কোন ব্যবহারকারী ব্লগার ওয়েবসাইটকে পছন্দ করেন। আবার কোন কোন ব্যবহারকারী ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কে পছন্দ করে থাকেন। আপনি কোন মাধ্যমে ওয়েবসাইট খুলবেন? সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পূর্বে, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি? সে বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত।

আপনি যদি, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি? তা জানতে পারেন তাহলে আপনার পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সহজ হবে। আশা করি নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়ার পরে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন যে, কোন প্লাটফর্মটি আপনার জন্য অধিক উপযোগী। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি? 


ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের সুবিধা সমূহ: 
  • খুব সহজেই কোডিং ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়
  • অনেক বেশি কাস্টমাইজেশন এর সুবিধা রয়েছে
  • ওয়েবসাইটকে খুব সহজেই থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট এর সাথে যুক্ত করা যায়
  • প্রফেশনাল ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের অসুবিধা সমূহ:
  • হোস্টিং ক্রয় করতে হয়
  • ডোমেইন নেম ক্রয় করতে হয়
  • সিকিউরিটির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়
  • আলাদাভাবে ssl সার্টিফিকেট ক্রয় করতে হয়
ব্লগার ওয়েবসাইটের সুবিধা সমূহ: 
  • খুব সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, এবং পরিচালনা করা যায়
  • ফ্রি আনলিমিটেড হোস্টিং পাওয়া যায়
  • ফ্রিতে থিম পাওয়া যায়
  • Adsense এর মাধ্যমে খুব সহজেই মনিটাইজেশন পাওয়া যায়
  • ফ্রি ssl সার্টিফিকেট পাওয়া যায়
  • ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না
ব্লগার ওয়েবসাইটের অসুবিধা সমূহ:
  • খুব বেশি কাস্টমাইজেশন এর সুযোগ নেই
  • নিজের ওয়েবসাইটের উপরে পুরোপুরি কন্ট্রোল থাকে না
  • প্রফেশনাল ই-কমার্স সাইট তৈরি করা যায় না

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট কেন ব্যবহার করবেন

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি, সেই বিষয় সম্পর্কে উপরে আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। এখানে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ব্যবহার করার কিছু কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। সাধারণত যে সকল কারণে ব্যবহারকারীগণ ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে নিচে আলোচনা তুলে ধরা হবে। 

আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান কিংবা সার্ভিস সংক্রান্ত কোন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস বেছে নিতে হবে। কেননা, ব্লগার ব্যবহার করে প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা প্রায় অসম্ভব। হোস্টিং এবং ডোমেইন ক্রয় করার মত যথেষ্ট পরিমাণে টাকা যদি আপনার থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ব্লগিং করার জন্যও ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। 

মনে রাখবেন, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করলে সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ইনকাম হোক বা না হোক আপনাকে অবশ্যই প্রতি মাসে অথবা বাৎসরিকভাবে হোস্টিং ফি এবং ডোমেইনের খরচ বহন করতে হবে। আর এ কারণেই অনেকেই, ব্লগারের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করার পরে ওয়ার্ডপ্রেস এর দিকে ধাবিত হয়। অর্থাৎ সাধারণত বিগিনার লেভেলের ব্লগারগণ ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন না। 

যাইহোক আপনি যদি এডভান্স লেভেলের ব্লগার হয়ে থাকেন, এবং ওয়ার্ডপ্রেসের খরচ বহন করার মত সামর্থ্য থাকে সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের আরেকটি বড় সুবিধা হলো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, খুব সহজেই এফিলিয়েট সাইডগুলোর সাথে ইন্টিগ্রেটেড হওয়া যায়।কেননা অধিকাংশ এফিলিয়েট সাইট এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য নির্দিষ্ট প্লাগিন তৈরি করে থাকে।আপনি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে সেই প্লাগিন ইন্সটল করার মাধ্যমে খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। 

ব্লগ ওয়েবসাইট কেন ব্যবহার করবেন

ব্লগিং শুরু করার জন্য ব্লগার ওয়েবসাইট, নতুনদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। কোন ধরনের হোস্টিং খরচ ছাড়াই শুধুমাত্র একটা ডোমেইন ক্রয় করে খুব সহজেই ব্লগারের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করা যায়। তবে চাইলে আপনি ডোমেইন নাম ক্রয় না করেও সাব-ডোমেইনের  মাধ্যমেও ব্লগিং শুরু করতে পারেন।খরচ বাঁচানো ছাড়াও ব্লগারের আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। 

আপনি একটি মাত্র জিমেইল একাউন্টের মাধ্যমে অনেকগুলো একাউন্ট করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, ব্লগার ওয়েবসাইটে আপনি আনলিমিটেড হোস্টিং পাবেন। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে যদি আপনি আনলিমিটেড হোস্টিং ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। আর এ কারণেই, ব্লগারদের প্রথম ব্লগার ওয়েবসাইট। 

এছাড়াও আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন: গুগল এডসেন্স এবং ব্লগার ওয়েবসাইট একই মালিকানা ভুক্ত হওয়ায় খুব সহজেই, ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়া যায়।এছাড়াও সার্চ কনসোল, গুগল অ্যানিলিটিক্স সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ সব ওয়েবসাইটে খুব সহজেই ব্লগার ওয়েবসাইকে ইন্টিগ্রেটেড করা যায়। 

এছাড়াও ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। যদিও ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের মতো এত সহজ নয়, তবে ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা অসম্ভব নয়। অনেক সময় দেখা যায় যে, বিভিন্ন অয়েল সাইটের এফিলিয়েট প্রোগ্রামের জন্য নির্দিষ্ট প্লাগিন থাকে। সেই ক্ষেত্রে ব্লগারের মাধ্যমে সেই সকল ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা কিছুটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। 

উপসংহার

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি? আশা করি সেই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন কেননা, ইতোমধ্যেই উপরে সেই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে। যাইহোক, আপনি যদি বিগিনার লেভেলের ব্লগার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। 

পরবর্তীতে চাইলে, ওয়ার্ড প্রেসে মুভ করতে পারেন। প্রথমেই যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ব্লগিং শুরু করেন সেক্ষেত্রে কিন্তু, আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে। যাইহোক, ওয়ার্ডপ্রেস নাকি ব্লগার? কোনটি আপনার জন্য পারফেক্ট, আশা করি ইতিমধ্যেই শেষ সম্পর্কে আপনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছেন। 

কেননা উপরে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ও ব্লগ ওয়েবসাইট এর মধ্যে পার্থক্য কি, সেই বিষয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগার উভয় ওয়েবসাইটের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল এই আর্টিকেলটি আশা করি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে তার সকলের সাথে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Freelancer Sharif Policy Accept and comment. Every comment is reviewed.

comment url