হার্ট ব্লক হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। Most responsible for heart block.
এই দশটি খাবার আমরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। প্রিয় দর্শক আজকে খুব গুরুত্বপূর্ণ দশটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। হৃদরোগ থেকে বাঁচতে যে দশটি খাবার আপনাকে বাদ দিতে হবে। আগে জানতাম মানুষ বৃদ্ধ বয়সেই হার্ট এটাক করে এখন যুবক আর বৃদ্ধ নেই যে কোন বয়সেই হার্ট এটাক করে মানুষ মারা যায় এর কারণ রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া।
যখন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায় তখন স্ট্রোক করার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আমাদের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন এর মাধ্যমে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারি।
কনটেন্ট সূচিপত্রঃ এই দশটি খাবার হার্ট ব্লক হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী
এখন যে খাবারটির কথা বলব মাছের মাথা ও মাছের ডিম, মাছের মাথা ও মাছের ডিম খুবই পুষ্টিকর যাদের হৃদরোগ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে ব্লাডের প্রোটিনের পরিমাণ অনেক হাই তারা ।এটা কম খাবেন। এই খাবারটা বেশি খাবেন না খুব অল্প পরিমাণ খাবেন , প্রয়োজন পড়লে না খেয়ে থাকবেন।
দুই নম্বর টি হল চিংড়ি মাছ। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো চিংড়ি মাছ। বিশেষ করে চিংড়ি মাছের মাথায় থাকে ভয়ংকর রকমের ফ্যাট অর্থাৎ কোলেস্টেরল। * ৩.৫ আউন্স রান্না করা এক পিস স্যামন মাছে ৬২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। সেখানে একই পরিমাণ চিংড়ি মাছে আছে ১৮৯ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। সুতরাং আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে আপনি কোন মাছটি খাবেন? চিংড়ি মাছ খাবেন নাকি অন্য কোন মাছ খাবেন? তবে চিংড়ি মাছের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা বলে থাকেন চিংড়ি মাছের মাথায় বেশি পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে। তাই চিংড়ি মাছ খেতে হলেও চিংড়ি মাছের মাথাটা না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
তিন নম্বরটি হলো ঘি। বিশুদ্ধ ঘি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে দৈনিক আদা চামচ থেকে সর্বোচ্চ এক চামচ। যদি হৃদরোগ থাকে তাহলে আধা চামচ এর থেকেও কম। তবে হৃদরোগের মাত্রা বেশি হলে ঘি না খাওয়াই উচিত। এর সাথে মাখন ডালডা পরিশোধিত তো তেল কোনভাবেই খাওয়া উচিত না।
চার নম্বরটি হলো নারকেল। নারকেল দেহের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে যারা 'থাইরয়েড' হরমোনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য নারকেল খুবই উপকারী। যদি আপনি আপনার খাবারের দিকে খেয়াল না রাখেন। অর্থাৎ নারকেল দিয়ে পিঠা খেলেন এবং অত্যাধিক ভরপুর নারকেল খেলেন এটা কিন্তু আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হবে। তাই কতটুকু নারকেল খাচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখবেন। দৈনিক সর্বোচ্চ ৫০ গ্রামের বেশি নারকেল কোনভাবেই খাওয়া যাবে না।
অর্থাৎ পাঁচ নম্বর হচ্ছে যে কোন মাংসের কলিজা, মগজ, হাড়ের মজ্জা, এগুলো আমরা খুব মজা করে খাই। কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণ কোলেস্টেরল থাকে। যা হৃদরোগীদের জন্য ভয়ংকর রকমের ক্ষতিকর। যে পর্যন্ত ব্লাডের ব্লাড কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না আসছে সে পর্যন্ত এগুলো খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
৬ নাম্বার রেডমিট ।রেডমিট বলতে আমরা লাল মাংস বা গরুর মাংসকে বুঝে থাকি। তো এই রেডমিট খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। কারণ রেডমিট ভেঙ্গে কামির চায়েল নামক একটি যৌগ দেহে তৈরি হয় যা খেলে অক্সাইড নিঃসরণ করে। আর এর কারণে আর্টারিতে ব্লকের সৃষ্টি হয়। সুতরাং হার্ট ব্লক হওয়ার একটি কারণ আমরা পেয়ে গেলাম যা রেডমিট এর মধ্যে আছে। তাই গরুর মাংসটা অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত, হৃদরোগ বেশি থাকলে বন্ধ করে দিন।
৭ নম্বর হচ্ছে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত কোন খাবার। ভাজাপোড়া খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তার উপরে আবার পরিশুদ্ধ তেল সেটা তো আরো খারাপ। এতে ক্যালরি থাকে না বললেই চলে। কিন্তু যুক্ত হয় ক্ষতিকর কতগুলো কোলেস্টেরল। তাই রাস্তার পাশে হোক অথবা ঘরে বানানো হোক। ভাজাপোড়া সমুচা, সিঙ্গারা,পিয়াজু এগুলো যত বাদ দেয়া যায় ততই ভালো।
৮ নম্বর হচ্ছে ডিমের কুসুম তবে এক্ষেত্রে বলে রাখছি। প্রতিদিন একটা পরিপূর্ণ ডিম কিন্তু যে কোন মানুষের জন্য খুবই উপকারী এমনকি কুসুম সহ। কিন্তু আপনি যদি একের অধিক ডিম খান সেক্ষেত্রে আপনার মাথায় রাখা উচিত যদি হৃদরোগ থাকে সেক্ষেত্রে আপনি একটা ডিমের কুসুম সহ খাবেন আর বাকি ডিম গুলোর শুধু সাদা অংশ খাবেন।
নয় নম্বর হলো চিনি। চিনি দিয়ে মিষ্টি করা যেকোনো খাবার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিপূর্ণ। আপনি আপেলের মিষ্টি খান আনারসের মিষ্টি খান কোন সমস্যা নেই। কিন্তু চিনির মিষ্টি আপনার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। একইভাবে কোকাকোলা পেপসি থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল কোলড্রিংস রয়েছে সেগুলোতেও যেহেতু যিনি আছে তাই একইভাবে সেগুলোও ভয়ংকর রকমের খারাপ এমনকি আইসক্রিমও।
১০ নম্বর হচ্ছে ফাস্টফুড। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছিল। যারা প্রত্যেক সপ্তাহে একবার নিয়মিতভাবে ফাস্টফুড খায়। তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে ২০% বেশি। যারা একের অধিক দুই তিনবার খায় তাদের আক্রান্তর হার কিন্তু অনেক বেশি প্রায় ৫০ শতাংশ। শুধু তাই নয় সাপ্তাহিক যারা চার বা তারও বেশি ফাস্টফুড খায় তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৮০% বেশি। সুতরাং যারা উন্নত দেশে ফাস্টফুড খাওয়া দেখে নির্দ্বিধায় ফাস্টফুড খাচ্ছেন বা শিশুদের খেতে দিচ্ছেন। তারা এখন থেকে সচেতন হয়ে যান। শুধু এই খাবারগুলো বর্জন করলেই হবে না দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ধরে ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করুন। ভালো হয় যদি খোলা হাওয়ায় রোদ বাতাসে ব্যায়াম করতে পারেন এতে ঘাম নিঃসরণ এর পাশাপাশি দেহের টক্সিক উপাদান গুলো বের হয়ে যাবে এবং দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।
তাই প্রিয় দর্শক আপনার কাজের ধরন যেমনি হোক না কেন আপনি দিনে কিছু সময় বের করুন যে সময়টা আপনি ব্যায়াম করতে পারেন এবং রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে সেই সাথে ধূমপান মদ্যপান একেবারেই বর্জন করতে হবে।
আল্লাহ আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তৌফিক দান করুক এবং সুস্থ থাকুক আমিন।
Freelancer Sharif Policy Accept and comment. Every comment is reviewed.
comment url