ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট। 15 Best Websites to Learn Video Editing.
আমরা যারা ভিডিও এডিটিং শিখতে চাই সাধারণত তারা ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেল ওপেন করেছেন। আপনাদের জন্য ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে আলোচনা করব। ভিডিও এডিটিং শিখতে চাইলে ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তো বিষয়গুলো জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট
- ভিডিও এডিটিং কি
- ভিডিও এডিটিং কেন করা হয়
- ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট
- ২০২৩ সালের জন্য সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
- আমাদের শেষ কথা
ভিডিও এডিটিং কি?
বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে জানে না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা কম বেশি সকলেই ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে জানি। কারণ বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করা যায় সাধারণত তাই তরুণ সমাজ ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে ভালো জানে। তবুও ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানার আগে ভিডিও এডিটিং কি বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।
সাধারণভাবে ভিডিও এডিটিং বলতে ভিডিও কাট, ট্রিম এবং ভিডিওর প্রয়োজনীয় অংশগুলো কেটে সুন্দর করে ভিডিও এর প্রয়োজনীয় অংশগুলো সাজিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও তৈরি করা কে বলা হয় ভিডিও এডিটিং। এছাড়া অ্যানিমেশন কালার গ্রেডিং, স্টোরি রাইটিং ইত্যাদি ভিডিও এডিটিং এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত।
সোজা পরিষ্কার কথাই একটি ভিডিওর প্রয়োজনীয় অংশগুলোকে বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় অংশগুলোকে নিয়ে সুন্দর করে একটি ভিডিও তৈরি করাকে বলা হয় ভিডিও এডিটিং। যেকোন ভিডিও করার পরে সেটিকে সুন্দর করে এডিটিং করা হয়। যে ব্যক্তি ভিডিও এডিটিং করে সাধারণত তাকে এডিটর বলা হয়।
ভিডিও এডিটিং কেন করা হয়?
বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং করে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। আশা করি এই একটি বাক্যে আপনি বুঝতে পেরেছেন ভিডিও এডিটিং কেন করা হয়। সাধারণত অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যেই ভিডিও এডিটিং করা হয়। যেকোনো অনুষ্ঠান অথবা ভিডিও শুটিং করার পরে সেদিকে এডিটিং অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় অংশগুলোকে বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় অংশগুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করা হয়।
এরপরে এই ভিডিও গুলো কে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে একজন ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এর উপর যথেষ্ট পরিমাণ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকলে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা কোন ব্যাপার নয়। একজন ভিডিও এডিটর খুব সহজে তার দক্ষতা গুলোকে কাজে লাগিয়ে ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও এডিটিং শেখানো হয়। এটি খুবই প্রয়োজনীয় এবং উপকারী কারণ আপনি যখন ইচ্ছা আপনার সময় অনুযায়ী এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনার ক্লাস করতে পারবেন। সেই জন্য আমাদেরকে ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে। ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।
- Video Copilot
- Larry Jordan
- Premiere Gal
- Jonny Elwyn
- Red Giant Tutorials
Video Copilot - যারা অনলাইনের মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং শিখতে চাই সাধারণত তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজ একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করেন আমেরিকা একজন ভিজুয়াল আর্টিস্ট।
এই ওয়েবসাইটটি সুন্দর করে ভিডিও এডিটিং এর জনপ্রিয় সবগুলো টুলস এর সাহায্যে সাজানো হয়েছে। যে কোন স্টেজে ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকরী একটি ওয়েবসাইট হলো এটি।
Larry Jordan - সাধারণত এটি একটি আমেরিকান নাগরিকের নাম। বিশ্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের কাছে খুবই পরিচিত একজন ব্যক্তি। তিনি তার নামে একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করেন। বিশ্বজুড়ে প্রায় সকল প্রফেশনাল ভিডিও এডিটরদের কাছে এই ব্যক্তি অনেক জনপ্রিয়। কারণ তিনি প্রায় সকল এডিটরদের ভিডিও এডিটিং শিক্ষা দিয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটে আপনি ভিডিও এডিটিং থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র তৈরি করার জন্য যাবতীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। আপনি যদি এই ভিডিও এডিটিং একজন দক্ষ ব্যক্তি হতে চান তাহলে অবশ্যই এই ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও এডিটিং শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
Premiere Gal - আমেরিকা একজন নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছেন। এই ওয়েবসাইটে আপনি প্রোডাকশন সহ প্রিমিয়ার প্রো এর নানারকম টেকনিকের উপর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আপনি যদি একজন ভিডিও এডিটর অথবা ভালো একজন ক্যামেরাম্যান হতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন।
Jonny Elwyn - একটি পরিচালনা করেন লন্ডনের একজন ফ্রিল্যান্সার। এটি সেই ব্যক্তির ব্যক্তিগত ব্লগ যেখানে ভিডিও এডিটিং এর উপর অসংখ্য আর্টিকেল এবং ভিডিও রয়েছে। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকমের শিক্ষামূলক ভিডিও রয়েছে যেগুলোকে সাধারণ জনগণের জন্য একদম ফ্রি। এই ভিডিওগুলো যেকোন মানুষকে একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর হতে সাহায্য করবে।
Red Giant Tutorials - ভিডিও এডিটিং গ্রাফিক্স অথবা চলচ্চিত্র নির্মাণ এর জন্য অপরিহার্য। যেকোনো সুন্দর ভিডিও অথবা মুভি তৈরি করার জন্য অবশ্যই ভিডিও এডিটিং প্রয়োজন। এছাড়া বর্তমানে সকল মুভিতেই গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স এর কাজ শেখানো হয় এখানে আপনি মোশন গ্রাফিক্স শিখতে পারবেন।
২০২৩ সালের জন্য সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার
যে কোন ভিডিও এডিটিং করার জন্য একটি ভালো মানের সফটওয়্যার প্রয়োজন। সফটওয়্যার ছাড়া কখনোই ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা প্রথমে ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনেছি এখন ২০২৩ সালের জন্য সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানব। ২০২৩ সালের জন্য সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার নিচে উল্লেখ করা হলো।
- Adobe Premiere Pro
- Camtasia
- DaVinci Resolve
- Nero Video
- Video Editor(Win 10-11)
- Wondershare Filmora
- Pinnacle Studio
- VSDC
- Shortcut
- HitFilm Pro
Adobe Premiere Pro - যারা ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে ধারণা রাখেন অথবা ভিডিও এডিটিং শিখতে আগ্রহী সাধারণত তারা এই সফটওয়্যার টির নাম আগে শুনেছেন। এটি এমন একটি সফটওয়্যার যা সবার ব্যবহার করে বিশেষ করে যত বড় বড় ইউটিউবার ট্রাভেল ব্লগার, ফুড ব্লগার বিশেষ করে যারা ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে তারা।
এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে সফটওয়্যারটিকে কিনে নিতে হবে। না কিনে প্রথম সাত দিন ফ্রী ব্যবহার করা যায় এর পরে আর ফ্রি ব্যবহার করা যাবে না তখন সফটওয়্যার টিকে ব্যবহার করার জন্য কিনে নিতে হবে।
Camtasia - এই সফটওয়্যারটি পুরাতন একটি সফটওয়্যার এবং খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পছন্দ করে কারণ এই সপ্তাহের এডিটিং করা খুব সহজ। বিশেষ করে যারা প্রথম প্রথম ভিডিও এডিটিং করে তাদের জন্য এই সফটওয়্যারটি সবথেকে কার্যকরী। অনেক সহজেই যে কোন ভিডিও নয়েজ রিমুভ অতিরিক্ত ক্লিপ বাদ দেওয়া সহ বিভিন্ন রকমের এডিটিং করতে পারা যায়।
DaVinci Resolve - যেগুলো জনপ্রিয় সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এটি। এ সফটওয়্যারটি প্রথম প্রকাশ করা হয় ২০০৪ সালে। এই সফটওয়্যারের ফিচার গুলো প্রায় Adobe Premiere এর মত। তবে এর মধ্যে কিছু নতুন ফিচার রয়েছে। এই সফটওয়্যার দিয়ে 8K রেজুলেশন ভিডিও এডিটিং সহজেই করতে পারা যায়।
Nero Video - এটি খুবই জনপ্রিয় এবং কার্যকরী একটি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। যার অনেকগুলো গুণ রয়েছে অনেকের ছোটবেলার স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই সফটওয়্যার এর মধ্যে। আগে আমাদের ছোটবেলায় যেকোনো ধরনের বিয়ের জন্মদিন অথবা ছোটখাটো অনুষ্ঠান ভিডিও করে ডিভিডি ক্যাসেট এর মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখা হতো। সেই ভিডিওগুলো এডিট করা হতো এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে।
Video Editor(Win 10-11) - বেসিক এডিটিং শেখার জন্য এই সফটওয়্যারটি সবথেকে কার্যকরী। কারণ এই সফটওয়্যারটি একবারে ফ্রি। বেশি কি এবং সহজ ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে এটা সবথেকে ভালো। এ সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি ভিডিওর মধ্যে থাকা এক্সট্রা ক্লিপ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সহ বিভিন্ন রকম বিষয় এডিটিং করতে পারবেন।
Wondershare Filmora - বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার হল এটি। কারণ এই সফটওয়্যার টি অন্যান্য সফটওয়্যার এর মত ভারী না। এই সফটওয়্যার এ ভিডিও এডিটিং করার জন্য একটু ভালো মানের pc দরকার। যদি লো বাজেটের পিসি হয় তাহলে এই সফটওয়্যারটি ভালোমতো কাজ করবে না।
Pinnacle Studio - এই সফটওয়্যার টি অনেকটাই এডোবি সফটওয়্যার এর মতই। এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে 4K রেজুলেশনের ভিডিও সরাসরি ইমপোর্ট করা যায়। সব ধরনের এডিটিং এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে। যেমন যেকোনো ধরনের কালার গ্রেডিং, অডিও এডিটিং সহ অন্যান্য এডিটিং গুলো এখানে খুব সহজেই করা যায়।
VSDC - এটি একটি ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এ সফটওয়্যার এর অনেকগুলো গুন রয়েছে। যেকোনো ধরনের ভিডিও এডিটিং করার জন্য এই সফটওয়্যার এর ফ্রি ভার্সনটি যথেষ্ট। সাধারণত যেকোনো পেড সফটওয়্যার এর মতই এই সফটওয়্যারটি। একটা ফ্রি টুল হিসেবে এই ফিচারগুলো সব সফটওয়্যার দেয়া থাকে না যেগুলো এ সফটওয়্যার থাকে।
Shortcut - এই সফটওয়্যার এবং VSDC সফটওয়্যারটি প্রায় একই রকম। তবে কিছু কিছু ফিচার একটু কম বেশি রয়েছে। এটি একটি ফ্রি সফটওয়্যার। ফ্রি এই সফটওয়্যারে ভালো মতো কাজ করতে পারলে ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায়। একটি ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে অনেক ভালো ভাবে কাজ করে থাকে এই সফটওয়্যারটি।
HitFilm Pro - এ সফটওয়ারের মাধ্যমে শুধু ভিডিও এডিটিং নয় ভিএফএক্স সফটওয়্যার বলা হয়। যতগুলো সফটওয়্যার রয়েছে প্রায় সবগুলো সফটওয়্যার দেখতে একই রকম। এটাতেও ঠিক আগের সফটওয়্যার গুলোর মতই কাজ হয়ে থাকে। ভিডিও কাটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, টাইটেল এনিমেশন, কালার গ্রেডিং সহ ইত্যাদি কাজগুলো করা হয়।
আমাদের শেষ কথাঃ ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে ২০২৩ সালের জন্য সেরা মোবাইলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার, ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য সেরা ১৫ টি ওয়েবসাইট, ভিডিও এডিটিং কি? ভিডিও এডিটিং কেন করা হয় এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ভিডিও এডিটিং এ যদি দক্ষ হতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের ওয়েবসাইট অথবা সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং শিখে নিতে পারেন। উক্ত বিষয়গুলো জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ধন্যবাদ।
Freelancer Sharif Policy Accept and comment. Every comment is reviewed.
comment url